Thursday, August 18, 2016

প্রাকৃতিক উপায়ে মশা দমন এর উপর গবেষণা (ইষ্ট আর ব্রাউন সুগার ব্যবহার করে) পর্ব-১



মশার অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্যে আমরা অনেক ক্ষতিকর কেমিকেল ব্যবহার করে থাকি। যেমন- মরটিন, এরোসল, কয়েল, বিভিন্ন স্প্রে ইত্যাদি। এসব দ্রব্যাদির অনেক গুলো সুগন্ধি বিশিষ্ট আবার অনেক গুলো বেশ দুর্গন্ধ যুক্ত হয়। যা মানুষের অসস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আবার সুগন্ধি হলেও সেসব কেমিকেল গুলি মানুষ সহ অনান্য গৃহপালিত প্রাণীদের নানা ক্ষতি সাধন করে। এছাড়া বাতাস, পানি, মাটি দূষণের মত মারাত্মক অনেক ব্যাপার ও এর সাথে জড়িত। এখন মানুষ তার নিজের ক্ষতির কথা ভেবে (কার কী হল সেটা ব্যাপার নয়, মানুষের ক্ষতিটাই এখানে মূলকথা) মশার পেছনে অনেক গবেষণা, সময় আর খরচাপাতি করে যাচ্ছে। নানা রকম ভয়ংকর রোগব্যাধি ছড়ানো এই পুঁচকে জীবের পেছনে মানুষের নতুন নতুন আবিষ্কার ও তেমন সাস্থকর হচ্ছেনা। যে যা ই করছে না কেন, মশা মারতে গিয়ে মানুষ পরোক্ষভাবে নিজের ক্ষতিটাই অবশেষে বেশি করে ফেলছে। তাই এইসব ক্ষতি কাটিয়ে মানুষ যদি এমন কিছু পদ্ধতি বা দ্রব্যাদি মশা দমন করতে ব্যবহার করতে পারে যা মানুষের জন্যে ও পরিবেশের জন্যে সাস্থকর- তাহলে মানুষ অবশ্যই বর্তমান জ্ঞান-বিজ্ঞানের যুগে মানব জাতি ও পৃ্থিবীর জন্য অনেক কিছু দিতে পারবে। যা যুগান্তরকারী একটি আবিষ্কারও হবে বটে। যাই হোক, এখন মশা মারতে কামান দাগার ব্যবস্থা করতে আমাদের প্রজেক্টটি ছোট্ট একটি ধারণার উপর প্রতিষ্ঠিত। 

আমার ধারণাটি হলো- 

CO2, আর অ্যালকোহোল জাতীয় দ্রব্যাদির উপর মশা-মাছির একটা স্পেশাল Sensitivity আছে”।

এটি মশার জন্যে Attractant/Repellent  যে কোনটি হতে পারে।

ধারণাটি করার কারণঃ

-      মানুষের বসবাসের অঞ্চলে মশার বেশি উৎপাত

-      অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রানীর আবাসস্থলে মশার অত্যধিক উৎপাত

-      যাদের চামড়া নরম ও রক্ত চুষে খাবার উপযোগী তাদের কাছে মশা বেশি অবস্থান নেয় যেমন- স্তন্যপায়ী

-      মাছ, উভচর, সরীসৃপ, পাখি এদের রক্ত পান করা মশার পক্ষে সম্ভব নয়, আর তা মশার প্রজননে কোন কাজেও লাগেনা

-      শ্বসনে স্তন্যপায়ীরাই সবার থেকে বেশী CO2 তৈরি করে

-      মানুষের চেয়ে গরুর শ্বসনে বেশি CO2  তৈরি হয়, আর মানুষের ঘর থেকে গরুর গোয়ালে মশা সহ অনান্য Blood Sucking Insect দেখা যায় অনেক বেশি

-      মশা বাদেও অনান্য ইনসেক্ট গুলিও মানুষকে কামড়ায় যেগুলো গরুর গোয়ালে পাওয়া যায়, তবে তা মানুষের ঘরে সচরাচর মানুষকে কামড়াতে আসেনা

আর তাই আমার ধারণা, তারা CO2 এর উপস্থিতি বুঝতে পেরে স্তন্যপায়ীর অবস্থান নির্ণয় করে। আর কামড়াতে আসে। এখন আমরা অন্যভাবে CO2  উৎপাদনের মাধ্যমে মশাকে ধোঁকা দিব। যাতে তারা আর আমাদের দংশন করতে না পারে।

ইন্টারনেটে (ইউটিউবে) অনেকে দাবি করেছেন,
CO2 এর ব্যাপারে মশা CO2  এর Attractant

তারা ইষ্ট এবং ব্রাউন সুগার ব্যবহার করে তৈরি করা মশার ফাঁদ বানিয়ে তা দিয়ে মশা ধরার ব্যাপারে দাবি করেছেন। তাদের দাবি হলো, 

“মশা মানুষকে না কামড়িয়ে ওই ফাঁদের মধ্যে ঢুকে পড়বে”।

ব্যাপারটি যদি সত্যি হয় তাহলে আমার ধারণা সঠিক হবার পাশাপাশি মশা ও মশা বাহিত রোগ থেকে সাস্থকর ভাবে বেঁচে থাকতে মানুষ অনেক পথ অগ্রসর হবে। তবে বাড়ির আশেপাশে নিয়মিত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে মশার উৎপাদন বন্ধ করলেই কিন্তু মশার জ্বালা থেকে বেঁচে থাকা যায়। নোংরা শহর বন্দরের কথা আলাদা। যাই হোক মশা নিয়ন্ত্রনের জন্য Biological পদ্ধতি আবিষ্কার করা অবশ্যই জরুরী।
   
এখন আমরা আমাদের এক্সপেরিমেন্টে ইষ্ট, ব্রাউন সুগার(আখের চিনি), পানি, টেপ, ছুরি, প্লাস্টিকের বোতল, থার্মোমিটার এসব ব্যবহার করব।

১। ইষ্ট বাজার থেকে কেনা আর অবশ্যই জীবীত হতে হবে। যা চিনির সাথে বিক্রিয়া করে চিনি মিশ্রিত পানিতে বুদবুদ তৈরি করবে।

২। পানিকে ঠান্ডা, গরম, গরম করে ঠান্ডা, হালকা গরম, বেশ ঠান্ডা, বেশ ঠান্ডা করে আবার স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এনে- এরকমভাবে ব্যবহার করব। আর বিভিন্ন তাপমাত্রার পানিতে ফলাফল লিখে রাখব।

৩। প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে ফাঁদ এমনভাবে বানাবো যাতে CO2 গ্যাস একটি ফাঁকা স্থানে জমা থাকতে পারে। এতে ফাঁদের স্থানে অন্যান্য জায়গা থেকে CO2 এর পরিমান বেশি থাকবে যাতে মশা সেখানে আকর্ষিত বা বিকর্ষিত হতে পারে। আকর্ষিত হলে ফাঁদে ধরা পড়বে, আর না হলে ফাঁদের গঠণ পরিবর্তন করতে হবে।

৪। co2  দ্বারা মশা আকর্ষিত বা বিকর্ষিত না হলে ফাঁদটি একদিন রেখে দিলে তাতে অ্যালকোহল এর বেশ গন্ধ হবে যা মশাকে আকর্ষিত বা বিকর্ষিত করে কিনা লক্ষ করতে হবে। একদিন পর খেজুরের রসের মত/তালের রসের মত বেশ গন্ধ করে এই ইষ্ট আর সুগার মিশ্রিত পানি। খেজুরের রসে মাছি জাতীয় ইনসেক্টগুলি ব্যাপক আকর্ষিত হয়।

৫। অবশ্যই পানি, চিনি আর ইষ্ট এর পরিমান লিখে রাখতে হবে।

পর্ব-২ দেখতে ক্লিক করুন  
পর্ব-৩ দেখতে ক্লিক করুন 
পর্ব-৪ দেখতে ক্লিক করুন 
পর্ব-৫ দেখতে ক্লিক করুন 
পর্ব-৬ দেখতে ক্লিক করুন 

পর্ব-৭ দেখতে ক্লিক করুন  

পর্ব-৮ দেখতে ক্লিক করুন  পর্ব-৯ দেখতে ক্লিক করুন  পর্ব-১০ দেখতে ক্লিক করুন  পর্ব-১১ দেখতে ক্লিক করুন

 

No comments:

Post a Comment