Experiment: 6
তারিখঃ ২০/০৮/২০১৬
স্থানঃ শহীদ শামসুজ্জোহা হল,
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রুম নং- ১৩১) এর ভিতরে এবং বাইরে যেখানে মশার উৎপাত বেশি।
ফাঁদের সংখ্যাঃ মোট ৫টি, ৩টি ঘরের মধ্যে
যার ২ টি নতুন, ১টি দুদিনের পুরনো; এটির সাথে অল্প ইষ্ট মিশিয়ে দিলাম। ২টি ঘরের
বাইরে। এগুলোর মধ্যে ১টি আগের রাতে ব্যবহার করা যেটিতে হালকা খেজুরের রসের মত
গন্ধ, ১টি গত দুদিনের পুরনো, ফাঁদ যেগুলিতে এলকোহল তৈরি হয়ে খেজুরের রসের মত গন্ধ
বেরুচ্ছে, পিওর আখের চিনি ব্যবহার করায় হালকা গুড়ের মত গন্ধও বের হচ্ছে।
ঘরের
ভিতরে ১টি দুদিনের পুরনো এলকোহল বিশিষ্ট ফাঁদ, ২টি নতুন ফাঁদ, আর ঘরের বাইরে ১টি
একদিনের পুরনো ফাঁদ আর আরেকটি দুদিনের পুরনো ফাঁদ এমন জায়গায় রাখলাম যেখানে মশা
থাকার সম্ভাবনা খুব বেশি।
আর
নতুন ভাবে বানানো অর্থাৎ পানি, চিনি, ইষ্ট মিশিয়ে বানানো যেটিতে CO2 তৈরি হচ্ছে সেটিতে পানির পরিমাণ ২০০মি.লি., চিনি
৭০গ্রাম, ইষ্ট ৩টেবিল চামচ। ইষ্ট মেশানো অবস্থায় পানির তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি
সেলসিয়াস। এই পানিতে চিনি মেশানো অবস্থায় তাপমাত্রা ছিল ৯৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ফলাফলঃ
দুদিনের পুরনো এলকোহলের গন্ধ বিশিষ্ট ফাঁদ (পুনরায় অল্প ইষ্ট মেশানো) যেটি
ঘরের ভেতরে ছিলঃ কোন
মশা, কোন ইনসেক্ট নেই।
একদিনের পুরনো এলকোহলের গন্ধ বিশিষ্ট ফাঁদ যেটি ঘরের বাইরে ছিলঃ কোন মশা বা ইনসেক্ট ঘুরতে
দেখা যায়নি।
দুদিনের পুরনো এলকোহলের গন্ধ বিশিষ্ট ফাঁদ যেটি ঘরের বাইরে ছিলঃ কোন ইনসেক্টের কোন Response নেই।
এলকোহলের গন্ধ বিশিষ্ট নতুন ২টি ফাঁদ যেগুলো ঘরের ভিতরে ছিলঃ একটিতে ২টি আরেকটিতে ৩টি মশা। রাতে বেশ
কিছু মশা ফাঁদের আশে পাশে উড়াউড়ি করেছে। এটিতে চিনির পরিমাণ বেশি দেওয়ায় কার্বন
ডাই অক্সাইড বেশি তৈরি হয়েছিল। এছাড়া ইষ্টের পরিমাণ ও বেশি ছিল। এলকোহল একটু বেশি
উৎপন্ন হওয়ায় ঘরে পচা ভাতের বেশ দুর্গন্ধ বেরুচ্ছিল।
কেতাব ভাইয়ের গরুর গোয়ালে রাখা নতুন ফাঁদঃ মশা ঢুকেছে ১টি। তবে অসংখ্য মশা
ফাঁদকে
কেন্দ্র করে ঘুরাফিরা করেছে।
**রুমমেট
এর বিরক্তি আজ চরমে। ঘরে ফার্মেন্টেশন করছি, নিম্নমানের মদের মত গন্ধ বেরুচ্ছে,
কেউ ঘরে আসলে বলবে আমরা নেশাসক্ত। গন্ধের কারনে তার কয়েকবার বমিও এসেছে। কিছু
দ্রবণ ঘরে ঢেলে পড়ায় প্রচন্ড গন্ধ করছে। কয়েকবার বডি স্প্রে দিয়ে স্প্রে করা
হয়েছে। গন্ধ যায়নি। আমার জন্য রুমে রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে। ১৪৪ ধারা। এই
এক্সপেরিমেন্ট আর আমাকে রুমে কোনভাবেই করতে দেয়া হবেনা। বহুত সহ্য করা হয়েছে আর
নয়। বাইরে বোতল কেটে বানানো ফাঁদ দেখে অনান্য ছাত্ররাও ঠাট্টার চোখে দেখছে আমায়।
নাক চেপে যাচ্ছে আর কি করছি জিজ্ঞাসা করছে। মশা মারার কথা বললে দ্বিধাহীন ভাবে
আড়চোখে তাকাচ্ছে**
(বি.দ্র.
হলের ঘরে আর বাইরে আজ বেশ মশার উপস্থিতি। দিনের বেলায় বৃষ্টি বাতাস কোনটি ই তেমন হয়নি। বেশ রোদ গেছে দিনের বেলা)।
No comments:
Post a Comment