তারিখঃ ১৭-০৯-২০১৬
স্থানঃ নিজ বাড়ি
দুইটি ঘরে
তাপমাত্রা-অন্ধকার ও ইলেকট্রিক ওয়েভ এই দুটি ব্যবস্থা করা হয়।
তাপ আর অন্ধকার
তৈরি করা হয় তাতালের কয়েল ব্যবহার করে মাটির কুলা এর মধ্যে। কুলা এর মুখ খুলে রাখা
হয়েছিল। ২ টি মশা সকালে কুলায় পাওয়া যায়। তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়নি। মশার আগমনের
জন্য জানালা খুলে রাখা হয়েছিল।
ইলেক্ট্রিক ওয়েভ
ব্যবহার করা ঘরে কোন মশা পাওয়া যায়নি। অবশ্য ওই ঘরের পাশের ঘরে কয়েল জ্বালানো
হয়েছিল। ঘরদুটো মাঝামাঝি দরজা দিয়ে যুক্ত।
রেগুলেটর এর স্পীড
রেকর্ড করা হয়নি।
বিকেলে প্রচণ্ড ঝড়
বাতাস ও বৃষ্টি হওয়ায় কোন মশা নেই। তবে যে ঘরে আমরা কিছু ব্যবহার করিনি সে ঘরের
লোক মশার ব্যপক উপস্থিতির কথা বলেছে।
Experiment-2
তারিখঃ ১৮-০৯-২০১৬
স্থানঃ শহীদ
শামসুজ্জোহা হল, রুম নং-১৩১
শুধুমাত্র শব্দ
তরংগ ব্যবহার হচ্ছে। রেগুলেটর ফুল এ দেয়া আছে।
ফলাফলঃ কিছুক্ষণ
পরে কোন মশা নেই। অথচ এর আগে মশার কামড়ে থাকা যাচ্ছিল না। মশার পালানোর জন্য ও
রুমে ঢুকার জন্য জানালা খুলে রেখেছিলাম।
Experiment-3
তারিখঃ ১৯-০৯-২০১৬
স্থানঃ শহীদ
শামসুজ্জোহা হল, রুম নং-১৩১
অজ্ঞাত কারনে রুমে
কোন মশা নেই। তাই কোন কিছু পরীক্ষা করা হল না। মশার পালানোর জন্য ও রুমে ঢুকার
জন্য জানালা খুলে রেখেছিলাম।
Experiment-4
তারিখঃ ২০-০৯-২০১৬
স্থানঃ শহীদ
শামসুজ্জোহা হল, রুম নং-১৩১
প্রথমে সন্ধ্যায়
প্রচুর মশার উৎপাত, তারপর রেগুলেটর ফুল স্পীডে দিয়ে যন্ত্র স্থাপন করলাম সন্ধ্যা
৭.৩০ মিনিটে। তারপর ১০ মিনিটের মধ্যে কোন মশা নেই রুমে। রাত ১২টার পরে চার-পাঁচটা
মশা বিরক্ত করেছে। তবে সহ্য সীমার মধ্যে ছিল তা। মশার পালানোর জন্য ও রুমে ঢুকার
জন্য জানালা খুলে রেখেছিলাম।
Experiment-5
তারিখঃ ২১-০৯-২০১৬
স্থানঃ শহীদ
শামসুজ্জোহা হল, রুম নং-১৩১
প্রথমে সন্ধ্যায়
প্রচুর মশার উৎপাত, তারপর রেগুলেটর ফুল স্পীডে দিয়ে যন্ত্র স্থাপন করলাম সন্ধ্যা
৮.০০ মিনিটে। তারপর ১০ মিনিটের মধ্যে কোন মশা নেই রুমে। রাতে পরে কোন মশার উৎপাত
ছিলনা। মশার পালানোর জন্য ও রুমে ঢুকার জন্য জানালা খুলে রেখেছিলাম।
Experiment-6
তারিখঃ ২২-০৯-২০১৬
স্থানঃ শহীদ
শামসুজ্জোহা হল, রুম নং-১৩১
প্রথমে সন্ধ্যায়
প্রচুর মশার উৎপাত, তারপর রেগুলেটর সবচেয়ে slow
স্পীডে দিয়ে যন্ত্র স্থাপন করলাম সন্ধ্যা ৮.২০ মিনিটে। তারপর ১০ মিনিটের মধ্যে কোন
মশা নেই রুমে। আধা ঘন্টা পর আবার মশার উৎপাত চরমে। পরে রেগুলেটর ফুল স্পীডে দিয়েও
কোন কাজ হয়নি। সারারাত মশার কামড় খেলাম। মশার পালানোর জন্য ও রুমে ঢুকার জন্য
জানালা খুলে রেখেছিলাম।
Experiment-7
তারিখঃ ২৩-০৯-২০১৬
স্থানঃ শহীদ
শামসুজ্জোহা হল, রুম নং-১৩১
প্রথমে সন্ধ্যায়
প্রচুর মশার উৎপাত, তারপর রেগুলেটর সবচেয়ে High
স্পীডে দিয়ে যন্ত্র স্থাপন করলাম সন্ধ্যা ৮.২০ মিনিটে। তারপর ১০ মিনিটের মধ্যে কোন
মশা নেই রুমে। আধা ঘন্টা পর আবার মশার উৎপাত চরমে। সারারাত মশার কামড় খেলাম। মশার
পালানোর জন্য ও রুমে ঢুকার জন্য জানালা খুলে রেখেছিলাম।
Experiment-8
তারিখঃ ২৪-০৯-২০১৬
স্থানঃ শহীদ
শামসুজ্জোহা হল, রুম নং-১৩১
প্রথমে সন্ধ্যায়
প্রচুর মশার উৎপাত, তারপর রেগুলেটর সবচেয়ে High
স্পীডে দিয়ে যন্ত্র স্থাপন করলাম সন্ধ্যা ৮.২০ মিনিটে। তারপর হঠাত কোন মশা নেই
রুমে। ঘন্টা খানেক পর আবার মশার উৎপাত চরমে। সারারাত মশার কামড় খেলাম। মশার
পালানোর জন্য ও রুমে ঢুকার জন্য জানালা খুলে রেখেছিলাম।
Experiment-9
তারিখঃ ২৫-০৯-২০১৬
স্থানঃ শহীদ
শামসুজ্জোহা হল, রুম নং-১৩১
প্রথমে সন্ধ্যায়
প্রচুর মশার উৎপাত, তারপর রেগুলেটর সবচেয়ে slow
স্পীডে দিয়ে যন্ত্র স্থাপন করলাম সন্ধ্যা ৮.২০ মিনিটে। তারপর মশার উপস্থিতি কমল না।
আধা ঘন্টা পর এই ভাইব্রেটর যন্ত্র বাদ দিয়ে পরে রেগুলেটর ফুল স্পীডে দিয়ে
ইলেকট্রিক ওয়েভ এর টা স্থাপন করলাম। মাঝরাত পর্যন্ত মশার কামড় খেলাম। মশার পালানোর
জন্য ও রুমে ঢুকার জন্য জানালা খুলে রেখেছিলাম।
Experiment-10
তারিখঃ ২৬-০৯-২০১৬
স্থানঃ শহীদ
শামসুজ্জোহা হল, রুম নং-১৩১
প্রথমে সন্ধ্যায়
প্রচুর মশার উৎপাত, তারপর রেগুলেটর সবচেয়ে slow
স্পীডে দিয়ে ইলেকট্রিক ওয়েভ এর যন্ত্র টা স্থাপন করলাম সন্ধ্যা ৮.০০ মিনিটে। তারপর
মশার উপস্থিতি কমল না। মাঝরাত পর্যন্ত মশার কামড় খেলাম। মশার পালানোর জন্য ও রুমে
ঢুকার জন্য জানালা খুলে রেখেছিলাম।
Experiment-11
তারিখঃ ২৭-০৯-২০১৬
স্থানঃ শহীদ
শামসুজ্জোহা হল, রুম নং-১৩১
প্রথমে সন্ধ্যায়
প্রচুর মশার উৎপাত, তারপর রেগুলেটর সবচেয়ে High
স্পীডে দিয়ে ইলেকট্রিক ওয়েভ এর যন্ত্র টা স্থাপন করলাম সন্ধ্যা ৮.০০ মিনিটে। তারপর
মশার উপস্থিতি কমল না। মাঝরাত পর্যন্ত মশার কামড় খেলাম। মশার পালানোর জন্য ও রুমে
ঢুকার জন্য জানালা খুলে রেখেছিলাম।
Experiment-12
তারিখঃ ২৮-০৯-২০১৬
স্থানঃ শহীদ
শামসুজ্জোহা হল, রুম নং-১৩১
প্রথমে সন্ধ্যায়
প্রচুর মশার উৎপাত, তারপর রেগুলেটর মধ্যম স্পীডে দিয়ে ইলেকট্রিক ওয়েভ এর যন্ত্র টা
স্থাপন করলাম সন্ধ্যা ৮.০০ মিনিটে। তারপর মশার উপস্থিতি কমল না। মাঝরাত পর্যন্ত মশার
কামড় খেলাম। মশার পালানোর জন্য ও রুমে ঢুকার জন্য জানালা খুলে রেখেছিলাম।
Experiment-13
তারিখঃ ২৯-০৯-২০১৬
স্থানঃ শহীদ
শামসুজ্জোহা হল, রুম নং-১৩১
প্রথমে সন্ধ্যায়
প্রচুর মশার উৎপাত, তারপর রেগুলেটর হাই স্পীডে দিয়ে ইলেকট্রিক ওয়েভ এর যন্ত্র টা
স্থাপন করলাম সন্ধ্যা ৮.০০ মিনিটে। তারপর মশার উপস্থিতি কমল না। মাঝরাত পর্যন্ত মশার
কামড় খেলাম। মশার পালানোর জন্য ও রুমে ঢুকার জন্য জানালা খুলে রেখেছিলাম।
Experiment-14
তারিখঃ ৩০-০৯-২০১৬
স্থানঃ শহীদ
শামসুজ্জোহা হল, রুম নং-১৩১
প্রথমে সন্ধ্যায়
প্রচুর মশার উৎপাত, তারপর রেগুলেটর হাই স্পীডে দিয়ে ইলেকট্রিক ওয়েভ এর যন্ত্র টা
স্থাপন করলাম সন্ধ্যা ৮.০০ মিনিটে। তারপর মশার উপস্থিতি কমল না। মাঝরাত পর্যন্ত মশার
কামড় খেলাম। মশার পালানোর জন্য ও রুমে ঢুকার জন্য জানালা খুলে রেখেছিলাম।
Experiment-15
তারিখঃ ০১-১০-২০১৬
স্থানঃ শহীদ
শামসুজ্জোহা হল, রুম নং-১৩১
প্রথমে সন্ধ্যায়
প্রচুর মশার উৎপাত, তারপর একটি মাটির হাড়ির মধ্যে হিটার রেখে নিচে ছোট্ট ফ্যান
রেখে দিলাম। যেন ফ্যানের হালকা বাতাস তাপকে উপরে ঠেলে নিয়ে আসে। আর ঐ মাটির হাড়ি
মাটির ঝাঁঝর দিয়ে ঢেকে দিলাম। ঝাঝরের উপরে কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দিলাম। যেন
তাপমাত্রা স্থির থাকে। ঘন্টা খানেক পর সেই কাপড়ে ৩৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা মাপলাম। রাতে
মশার উপস্থিতি কমল না। স্বাভাবিকভাবে মশা সবাইকে কামড়ালো। তবে ঐ স্থানে কয়েকটি
(৫-৭টি) মশা বসেছিল। সকালে কাপড় সরিয়ে দেখলাম কিছু মশা সেখানে বসেছিল।
Experiment-16
তারিখঃ ০২-১০-২০১৬
স্থানঃ শহীদ
শামসুজ্জোহা হল, রুম নং-১৩১
প্রথমে সন্ধ্যায়
প্রচুর মশার উৎপাত, তারপর একটি মাটির হাড়ির মধ্যে হিটার রেখে নিচে ছোট্ট ফ্যান
রেখে দিলাম। যেন ফ্যানের হালকা বাতাস তাপকে উপরে ঠেলে নিয়ে আসে। আর ঐ মাটির হাড়ি
মাটির ঝাঁঝর দিয়ে ঢেকে দিলাম। ঝাঝরের উপরে কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দিলাম। যেন
তাপমাত্রা স্থির থাকে। ঘন্টা খানেক পর সেই কাপড়ে ৩৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা মাপলাম। রাতে
মশার উপস্থিতি কমল না। স্বাভাবিকভাবে মশা সবাইকে কামড়ালো। তবে ঐ স্থানে কয়েকটি
(৫-৭টি) মশা বসেছিল। সকালে কাপড় সরিয়ে সেখানে কোন মশা পেলাম না।
মন্তব্যঃ
ইলেক্ট্রিক ওয়েভ,
তাপমাত্রা, অন্ধকার (কালো রঙ) কোনটাতেই মশা কোন রেসপনস করলনা। শুধুমাত্র শব্দে ই
কেবল মশা থাকলনা। তবে টানা কয়েকদিন শব্দ ব্যবহারের পর মশা আর তার প্রতি কোন আগ্রহ
বা অনাগ্রহ দেখায়নি। মশার এই আগ্রহ যে ঐ শব্দের উপরই ছিল তা পরে নিশ্চিত হয়েছি
কিছুদিন পরে আবার ওই যন্ত্র ব্যবহার করে। অর্থাৎ পরে আবার একইভাবে মশা পালিয়েছে
এবং টানা ৪ দিন পরে ঐ মেশিনে মশা আর কোন রেসপনস দেখায়নি।
তবে আমরা এখন এই
শব্দ ফ্রিকুয়েন্সির ব্যাপারটা বর্ধিত করতে পারি। এজন্য আমাদের অসংখ্য মশা
লাগবে। আর তা দিয়ে আমরা ল্যাবে এই মেশিনটি ব্যবহার করে মশার রেসপনস দেখতে পারি আরো
ভালভাবে। এজন্য আমাদের মশা কালচার জরুরি। ড্রেন থেকে মশার ডিম এনে আমরা সেটা
ব্যবহার করতে পারি। প্রসেসটা একটু দীর্ঘ হবে। তবে আমি ব্যাপারটা খুবই এনজয় করব।
No comments:
Post a Comment