হাইপোথিসিস-২;
মশার হালকা তাপমাত্রার উপর আকৃষ্টতা আছে। এই তাপমাত্রা
মানুষের শরীরের সবাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে সামান্য বেশি হবে। এই তাপমাত্রা সর্বোচ্চ
৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হবেনা। কারন এতে মশার আকৃষ্টতা হলেও মানুষের অনুভুতি
সহ্য সীমার বাইরে চলে যাবে। যদিও এই বিশেষ পরিবেশটা ঘরের এক নির্দিষ্ট কোনায় রাখা
হবে।
এই ধারনার কারনঃ
-
- মশা এক রকম ভাবে সবাইকে কামড়ায়না
-
- একসাথে কয়েকজন মানুষ বসে থাকলে যার শরীর
সামান্য বেশি গরম তাকে মশা একটু বেশি কামড়ায় যদিও সব মানুষের গায়ের তাপমাত্রা মোটামুটিভাবে
একই, তবুও কিছু মানুষ আছে যাদের গায়ে হাত দিলে মনে হয় গরম গা। এরকম লোককে মশা বেশি
কামড়ায়।
- - মানুষের কানের ছিদ্র দিয়ে হালকা তাপ বের
হয়। আর কানের কাছে মশার ভনভনানির ব্যাপারটি উপেক্ষা করা যায়না।
-
- গোয়াল ঘরে গরুর দেহের তাপমাত্রা মানুষের
দেহের তাপমাত্রার থেকে বেশ বেশি। আর গোয়ালঘরে মশার উপস্থিতি মানুষের ঘর থেকে অনেক
অনেক বেশি।
হাইপোথিসিস-৩;
মশার অন্ধকারের উপর আকৃষ্টতা আছে। আমার মনে হয় এরা
অন্ধকারকে এদের কেমোফ্লেজ হিসেবে মনে করে। যে, আমি কাউকে দেখছিনা তাই আমাকেও কেও
দেখছেনা। সুতরাং কামড়ানো যাবে আনন্দে।
ধারনাটি করার কারনঃ
-
- সন্ধ্যার শুরুতে মশা ঘরের কোন থেকে বের
হওয়া শুরু করে; যখন আধাঁর নামতে থাকে।
-
- রাতে উজ্জ্বল আলোতে মশার প্রাদুর্ভাব
তুলনামূলক ভাবে কম মনে হয়।
-
- লাইট বন্ধ করে দিলে বা হঠাত বিদ্যুৎ চলে
গেলে মশার উৎপাত সহ্যসীমার বাইরে চলে যায়।
- - ভোর হওয়ার সাথে সাথে মশা আবার ঘরের কোনে
আনাচে-কানাচে লুকাতে থাকে।
-
- চামড়ার জুতা, রাবারের জুতা ইত্যাদি যার
ভেতরে অন্ধকার তার মধ্যে মশার উপস্থিতি উপেক্ষা করা যায়না।
হাইপোথিসিস-৪;
ইলেক্ট্রিক ওয়েভ এর কোন সীমায় মশা অবশ্যই আকর্ষিত বা
বিকর্ষিত হবে। তাদের এন্টেনা ইলেক্ট্রিক সিগন্যাল অনুভব করে তাদের অবস্থান, চলাচল
ইত্যাদি কাজ করে থাকে।
-
- এই পরীক্ষাধীন ইলেক্ট্রিক ওয়েভ অবশ্যই
মানুষের সহ্যসীমার মধ্যে হবে।
-
- মানুষকে শক করবেনা।
-
- মানুষের ক্ষতির মধ্যে এর সীমা হওয়া
যাবেনা।
-
- মশা বাদে অন্যান্য গৃহপালিত প্রাণী ও
উপকারী সব প্রানীর জন্য ক্ষতিকর হবেনা।
ইলেক্ট্রিক ওয়েভঃ বিদ্যুৎ শক্তিকে চুম্বক শক্তি দ্বারা
প্রভাবিত করলে বিদ্যুৎ প্রবাহ ছড়িয়ে পড়ে ও বিদ্যুৎ শক্তি তরংগ আকারে একটি
নির্দিষ্ট ক্ষেত্র তৈরি করে। ঐ ক্ষেত্রের মধ্যে একটি শক অনুভব হবে যদি তা শক করার
মত ক্ষমতা বিদ্যুৎ শক্তি ধারন করে। বজ্রপাতের সময় বিদ্যুৎ শক্তি পৃথিবীর চুম্বক
শক্তি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। যাতে বেশ দূর থেকেও শক অনুভুত হয়।
হাইপোথিসিস-৫;
শব্দ প্রত্যেক প্রানীর ক্ষেত্রেই শ্রুতি কটু ও শ্রুতি
মধুর হয়। কোন প্রানীর ক্ষেত্রে এই দুটি সীমায় পৌঁছাতে পারলে তারা ঐ শব্দের প্রতি
আকৃষ্ট নয়তো বিকৃষ্ট হয়। এখন মশার এই দুটি সীমা অথবা তাদের পছন্দ অপছন্দের শব্দ
তরঙ্গ সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের আকর্ষিত বা বিকর্ষিত করা যাবে। তবে মশার এন্টেনা
শব্দের সনাক্তকরন করতে পারে কিনা, সেটা একটা প্রশ্ন।
শব্দ তরংগের ক্ষেত্রে যদি আমরা ঝড়ের শব্দ, বজ্রপাতের
শব্দ, মানুষের চলাচলের শব্দ, ঢেউয়ের শব্দ, বৃষ্টির শব্দ (কারন বৃষ্টি হলে মশার
উতপাত একদম ই থাকেনা) ইত্যাদি শব্দ তরঙ্গ সৃষ্টি করে যদি আমরা মশাকে ধোঁকা
দিতে পারি যে এখন ঘরের মধ্যে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে তবে মশার কামড় থেকে রেহাই পাওয়া
যাবে অনায়াসে। তবে এই ধরনের শব্দ কীভাবে বানাবো সেটা একটা প্রশ্ন। তবে শব্দগুলি
রেকর্ড করে বাজিয়ে কি দেখা যেতে পারে???
No comments:
Post a Comment